জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, দেশজুড়ে দলকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক পর্যবেক্ষণ পরিচালনার মাধ্যমে যোগ্যতার মূল্যায়নে আগামীতে প্রার্থী মনোয়ন দেয়া হবে। তিনি বলেন, কেউ নাম ডাকের জন্য জাতীয় পার্টি করতে পারেন, কিন্তু যোগ্য ব্যক্তি ছাড়া আগামীতে আর কাউকে প্রার্থী করা হবে না। পল্লীবন্ধুর প্রকৃত সৈনিক ও ত্যাগি নেতৃত্বের হাতেই তুলে দেয়া হবে লাঙল।

বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শহীদ রফিক স্মরণী সড়কে সাবেক মন্ত্রীর বাস ভবনে আধুনিক ও উন্নত মানিকগঞ্জ-২ আসন বির্নিমাণে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ভ্যার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দুই পর্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার প্রথম পর্বে সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকি আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মামুনূর রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই। লাঙলের প্রকৃত মালিক পল্লীবন্ধুর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে চুড়ান্তকরণের পথে সাংগঠনিক কর্মকান্ড শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিগগিরই রওশন এরশাদের নেতৃত্বে একটি বিকল্প জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। যদিও পার্টি বিকশিত হওয়ার পথে অনেক সময় জোটের রাজনীতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অতীতেও দেখেছেন, জোটের রাজনীতির কারণে কখনও কখনও দলীয় কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ে।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, সিঙ্গাইর উপজেলা জাপার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার, সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পৌর জাপার সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন খোকন, সিংগাইর উপজেলা জাপার সহ সভাপতি মো. ফিরোজ হোসেন খান প্রমূখ।

ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন এটিএন নিউজের আবুল কালাম আজাদ, নিউজ ২৪ টিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাবুল উদ্দিন খান, এনটিভির সাব্বির সোহেল, মাছরাঙা টিভির ওয়াজেদ আলম লাবলু, মোহনাটিভির সালাউদ্দিন রিপন, বাংলাটিভির রেজাউল করিম, এশিয়ান টিভির ইমরান, মাইটিভির মো. বাদল হোসাইন, নাগরিক টিভির হোসাইন আহমেদ পিয়াল, চ্যানেল নাইনের আরেফিন আহমেদ, অনলাইন টেলিভিশন জেটিভির আব্দুল গফুর, পিটিভির আসিফ হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, কালের কণ্ঠের মোবারক হোসেন, আজকের পত্রিকার সুজন মাহমুদ, সময়ের আলোর এবিএম কামরুদ্দিন রেজা, দৈনিক সংবাদের কহিনুর ইসলাম রাব্বি, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের আতিকুল ইসলাম ও দৈনিক সকালের সময়ের মিজানুরসহ আরো অনেকে।